The logo of Googleplex nithin edadhan is seen in Image capture: Nov 2019
মার্কিন বিচার বিভাগ দুটি দশকে সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাসের মামলা দিয়ে গুগলকে আঘাত করে
প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধে বাজারজাত করার ক্ষমতা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে মার্কিন বিচার বিভাগ ও ১১ টি রাজ্য মঙ্গলবার বর্ণমালা সংস্থার গুগলের বিরুদ্ধে অবিশ্বস্ত মামলা করেছে।
মামলাটি একটি প্রজন্মের বৃহত্তম অবিশ্বাসের মামলা চিহ্নিত করে, ১৯৯৯ সালে মাইক্রোসফ্ট কর্পের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সাথে তুলনাযোগ্য এবং এটিটি অ্যান্ড টি-এর বিরুদ্ধে ১৯ against৪ সালের মামলা যার ফলে বেল সিস্টেমটি ভেঙে যায়।
গুগল, যার অনুসন্ধান ইঞ্জিনটি এত সর্বব্যাপী যে এর নাম ক্রিয়া হয়ে উঠেছে, তাত্ক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। ২০১২ সালে এই সংস্থার আয় ছিল 2 162 বিলিয়ন, হাঙ্গেরির চেয়ে বেশি।
রিপাবলিকান সিনেটর জোশ হাওলি নামের গুগল সমালোচক এই সংস্থাটিকে “অবৈধ উপায়ে” মাধ্যমে ক্ষমতা বজায় রাখার অভিযোগ এনে মামলাটিকে “একটি প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবিশ্বাসের মামলা” বলে অভিহিত করেছেন।
মাইক্রোসফ্ট মামলা মোকদ্দমা দিয়েছিল যে ইন্টারনেটের বিস্ফোরক বৃদ্ধির পথ পরিষ্কার করার সাথে সাথে অবিশ্বাস যাচাই-বাছাই এই সংস্থাটি প্রতিযোগীদের ব্যর্থ করার চেষ্টা থেকে বিরত ছিল।
মঙ্গলবার ফেডারেল মামলা মোকদ্দমা ট্রাম্প প্রশাসন এবং প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে একটি বিরল মুহুর্তের চুক্তি চিহ্নিত করে। মার্কিন সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন 10 সেপ্টেম্বর # ব্র্যাকআপ বিগটেক হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করেছেন যে তিনি “দ্রুত এবং আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে চান”।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঠিক কয়েকদিন আগে, ফাইলিংয়ের সময়টিকে রাজনৈতিক অঙ্গভঙ্গি হিসাবে দেখা যেতে পারে, কারণ এটি রক্ষণশীল কণ্ঠকে দমিয়ে রাখার অভিযোগে কিছু সংস্থাকে ধরে রাখার জন্য তার সমর্থকদের কাছে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করে।
রিপাবলিকানরা প্রায়শই অভিযোগ করেন যে গুগল সহ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি তাদের প্ল্যাটফর্মগুলিতে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তার কমাতে পদক্ষেপ নেয়। আইনজীবিগণ কীভাবে ব্যাখ্যা না করেই এই অভিযোগযুক্ত সীমাবদ্ধতা বন্ধ করতে বিগ টেককে বাধ্য করতে অবিশ্বাস আইন ব্যবহার করবেন sought
সরকারী মামলা আসন্ন হওয়ার খবরের পরে বর্ণমালার শেয়ার প্রায় 1% বেড়েছে। লন্ডনের মীরাবাউড সিকিউরিটিজের টেক মিডিয়া ও টেলিকম গবেষণা বিভাগের প্রধান নীল ক্যাম্পলিংয়ের মতে ওয়াশিংটনের আইন প্রণেতারা আসলে একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে বাজারে কিছুটা সন্দেহ ছিল।
“এটি ঘোড়াটি বলার পরে প্রবাদ বাক্যটি তালাবদ্ধ করার মতো। গুগল ইতোমধ্যে একচেটিয়া অবস্থান পেয়েছে, বিলিয়ন অবকাঠামো, এআই, প্রযুক্তি, সফটওয়্যার, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রতিভাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে significant
যে ১১ টি রাজ্য মামলাটিতে যোগ দিয়েছিল তাদের সকলেরই রিপাবলিকান অ্যাটর্নি জেনারেল রয়েছে।
গুগলের বিস্তৃত ব্যবসায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নিদের সাধারণ তদন্তের পাশাপাশি এর বিস্তৃত ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যবসায়গুলির তদন্তেরও অধিকতর মামলা মোকদ্দমা কার্যকর হতে পারে। টেক্সাসের নেতৃত্বে একদল জেনারেল অ্যাটর্নি নভেম্বরের সাথে সাথেই ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি পৃথক মামলা দায়ের করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যখন কলোরাডোর নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ গুগলের বিরুদ্ধে আরও বিস্তৃত মামলা বিবেচনা করছে।
বিচার বিভাগ এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশন চারটি বড় প্রযুক্তি সংস্থা: অ্যামাজন ডটকম ইনক, অ্যাপল ইনক, ফেসবুক ইনক এবং গুগল সম্পর্কিত অবিশ্বাস তদন্ত শুরু করার এক বছরেরও বেশি সময় পরে এই মামলা করেছে।
সাত বছর আগে, এফটিসি অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যেও এর পণ্যগুলির পক্ষে আনার জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রমে অভিযুক্ত পক্ষপাতের কারণে গুগলে একটি অবিশ্বস্ত তদন্ত নিষ্পত্তি করেছিল। কিছু এফটিসি স্টাফ অ্যাটর্নিদের আপত্তি নিয়ে এই নিষ্পত্তি এসেছিল।
গুগল বিদেশেও একই রকম আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুগলকে বিজ্ঞাপনদাতাদের সন্ধানের জন্য গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবহার করা বন্ধ করার জন্য ২০১৫ সালে গুগলকে $ ১.7 বিলিয়ন ডলার, অনুসন্ধানে নিজস্ব শপিং ব্যবসায়ের পক্ষে করার জন্য ২০১ 2017 সালে ২.6 বিলিয়ন ডলার এবং তার ওয়্যারলেস অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অবরুদ্ধ করার জন্য ২০১ 2018 সালে ৪.৯ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে।
